কেন এই অবিচার

 পূর্ণ ঠিকানা চাই🌷

তিনি  শুধুমাত্র একজন শিক্ষক, মাদ্রাসার পরিচালক কিংবা নামাজী হুজুর ছিলেন না।

তিনি ছিলেন একজন সত্যিকারের সৈনিক— যে সাহস করে এগিয়ে এসেছিল, অন্যদের নীরবতার মধ্যেও।

তাঁর নাম মাওলানা শফিকুর রহমান।



জুলাই ২০২৪—এই একটি মাস যেন তাঁর জীবনের সমস্ত বর্ণিল অধ্যায়ের নিষ্ঠুর সমাপ্তির সূচনা।


সেই আন্দোলনের দিনগুলোতে তিনি মাদ্রাসার যত অর্থ ছিল—সব ব্যয় করেছিলেন জালিম স্বৈরাচারীর হাত থেকে আমাদের মুক্তির আশায়।


কিন্তু তার পরিণতি?

তার মাদ্রাসায় তালা ঝুলল, ডোনাররা মুখ ফিরিয়ে নিল।

একজন বলেছিলেন—

"আপনি প্রতিষ্ঠানের কথা না ভেবে আন্দোলন করলেন কেন?"

এই একটি বাক্যে যেন চেপে বসে সারা দুনিয়ার উপহাস।


পরিণতিতে স্ত্রীর ডিভোর্স,

দুই বছরের সন্তানকে হারানোর বেদনা—

যার কথা উঠলেই চোখ ভিজে যায়, গলা কেঁপে ওঠে।

তিনি আজো সন্তানকে “আব্বু” ডাকতে শুনতে চান,

কিন্তু সেই ডাক এখন শুধুই স্মৃতির এক ধ্বংসস্তূপ।


তাঁকে অনেকেই বলেছিলেন—

"আবেদন করুন, ক্ষতিপূরণ পাওয়া যেতে পারে।"

উত্তরে বললেন, "আঘাত পেয়েছি, তবে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াইনি।"

তাই লিস্টে নাম উঠেনি।

আত্মসম্মান বোধ এতটাই দৃঢ়, সাহায্য চাইতেও লজ্জা পান।


সরকারি মহলে বহুবার গেছেন—

কেউ সাহায্যের হাত বাড়ায়নি, শুধু আশ্বাস দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছে।

শেষ চেষ্টা হিসেবে ঋণের আবেদন করেছেন—

মাদ্রাসা আবার খোলা হোক, সেই স্বপ্ন নিয়ে।

তবুও এখনো কিছুই হয়নি।


তিনি হেরে যাননি।

আমরাই হেরে গেছি— আমরা যারা তাঁকে চিনতাম, তবু ভুলে গেছি।


মিডিয়া তাঁকে কখনোই দেখায়নি।

কারণ তিনি হুজুর।

এই দেশে তো মিডিয়া শুধুই বাটপার, চিটার, সেকুলার ভণ্ডদের গুণগান গায়।

যে হুজুর গুলি খায়, চোখের সামনে মাদ্রাসা হারায়, পরিবার ভেঙে পড়ে—

তাঁর গল্প মিডিয়ার কাছে অপ্রয়োজনীয়।

কারণ মিডিয়া ইসলামপন্থীদের নায়ক হিসেবে দেখতে চায় না,

বরং তাদের সবসময় ভিলেন বানিয়ে রাখতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।


তাঁর প্রতিরোধ ছিল নীরব, তাঁর আত্মত্যাগ ছিল নিরবিচারে।

তাঁকে দেখা হয়নি টিভির পর্দায়, কিন্তু ইতিহাস তাঁকে মনে রাখবে।


---


📸 ছবি: জুলাইয়ে প্রতিরোধের সময়, ভাইয়ের অজান্তে তোলা একটি মুহূর্ত


---


তাঁর গল্প হারিয়ে যাওয়ার নয়।

তাঁর জন্য আওয়াজ তুলুন।

তাঁকে ভুলে যাবেন না।

কারণ তিনি ছিলেন আমাদের মাঝে একজন সত্যিকারের গাজী—

তার আত্মত্যাগ অনেক বড়,

যিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েননি,

তবু সব হারিয়ে দিয়েছেন—আমাদের জন্য।


পূর্ণ ঠিকানা পেতে সাহায্য করুন,

কারো পরিচিত থাকলে কমেন্ট বক্সে পূর্ণ ঠিকানা দিন।


— উস্তাদ সুলতান নাঈম


কারো পরিচিত হলে

পূর্ণ ঠিকানা কমেন্ট বক্সে দিন

(4/5)