ইতিহাসের সবচেয়ে দামি "মানব মল " 🤣🤣

 এই সম্মান পেয়েছে *ভাইকিং কপোরোলাইট* (ফসিল হয়ে যাওয়া মানব মল), যার বয়স প্রায় ১,২০০ বছর!!!😱😱



১৯৭২ সালে ইংল্যান্ডের ইয়র্ক শহরে নির্মাণ কাজের সময় আবিষ্কৃত হয় এটি। মজার ব্যাপার হলো, এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৮ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ২ ইঞ্চি, যা এটিকে এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় ফসিলকৃত মানব বর্জ্য করে তোলে!


এটি পাওয়া গিয়েছিল *Lloyds Bank*-এর কাছে, তাই একে নাম দেওয়া হয়েছে "*Lloyds Bank Coprolite*"। এর বাজারমূল্য? প্রায় *৩৯,০০০ মার্কিন ডলার!*


বিশেষজ্ঞরা ধারণা করেন, এটি নবম শতকের এক ভাইকিং-এর, যার অন্ত্রে পরজীবী (intestinal parasites) ছিল। এই ‘জৈব সম্পদ’ থেকে গবেষকরা ভাইকিংদের খাদ্যাভ্যাস ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে দারুণ তথ্য পাচ্ছেন।


📍 বর্তমানে এটি প্রদর্শিত হচ্ছে JORVIK Viking Centre-এ, যেখানে আপনি নিজ চোখে দেখতে পারবেন োইতিহাসের সবচেয়ে “দামি বিষ্ঠা”!


কপি পোস্ট ভাই ব্রাদার 👍👍👍

(4/5)

জুলহাসের উরুজাহাজ VS বুয়েটের ইজিবাইক, কে সেরা??

 মনে আছে সেই জুলহাসের বিমান বানানোর চেষ্টা? আকাশে উড়ার স্বপ্ন? 

বুয়েটের মত প্রতিষ্ঠান যে ই-বাইকের নামে অটোরিকশা বানিয়েছে ,তাকে দেখলে অজপাড়া গায়ের দিনমজুরও হাসবে। এর চেয়ে পাড়ার গ্যারেজ মিস্ত্রিও এসমস্ত যন্ত্রপাতি কিনে একটা সো-কলড ই-বাইক বানিয়ে রাস্তায় নামাতে পারবে। 


এত বছরের নামকরা প্রতিষ্ঠানের ই-বাইক যে হারে মিডিয়ায় বুয়েটের উদ্ভাবিত ই-বাইক বলে প্রচারণা চালাচ্ছে, তা লজ্জাজনক ও হাস্যকর। 


দুনিয়ার অন্যান্য পাবলিক টেকনোলজিকাল গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেখানে যুগের চেয়ে এগিয়ে চিন্তাভাবনা করে আবিস্কারে মনযোগী হচ্ছে। আর পুরনো হয়ে যাওয়া বহুল প্রচলিত চায়না প্রযুক্তির ইজি-বাইকে একটু সংযোজন করে উদ্ভাবিত ই-বাইক বানিয়ে ফেলে যেন দেশের প্রযুক্তির দ্বার উন্মোচন করে দিলো।


এরোনোটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বলে একটা বিষয় আছে যেটার উপর পড়াশোনা করতে আগে বিদেশে যেতে হতো, এখন দেশেই পড়া যায়। একটি যানের আকাশে উড়া,যন্ত্রাংশ ইত্যাদি সম্পর্কিত নানান বিষয়ে শিক্ষার্থীরা ৪/৫ বছর ধরে পড়াশোনা করে। জুলহাসের অতো পড়াশোনা নাই, এরোনোটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পর্কে তার পুঁথিগত বিদ্যাও নাই তারপরেও সে একটি যান তৈরি করেছে এবং সেটা আকাশে উড়িয়েছে। রাইট  ব্রাদার্স  ১৯১১ সালে এই জিনিস বানিয়েছিলো, পরবর্তীতে সেটাকে উন্নত করে বিমান তৈরি হয় এবং এখন এটি সারাবিশ্বের মানুষের কাছে অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন দেশ বিমান নিজেরা বানাতে পারে, আমরা পারিনা। অন্যদেশের সামান্য পুরাতন বা নতুন বিমান কিনে এনে আমরা চালাই। আমাদের ছেলে, মেয়েরা এরোনোটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে দেশের বাইরে গিয়ে চাকরিবাকরি করে আর কয়েকজন দেশের এয়ারলাইনসগুলো আর বিমান বাহিনীতে চাকরি করে। এরা বিমান বানায় না, মেরামত করতে পারে। জুলহাসের এটা তাহলে কি? এটা কি কোনো কাজে লাগবে? হ্যাঁ অবশ্যই লাগবে। একজন সাধারণ মানুষ এই বিষয়ে যথেষ্ট পড়াশোনা না করেও গড গিফটেড জ্ঞান দিয়ে একটা যানকে আকাশে উড়িয়েছেন। বাতাসের গতি, উড়ার দক্ষতা, জ্বালানি, ভরবেগ, মহাকর্ষ সূত্র এসব না জেনেই একটি বিমানকে আকাশে উড়ানো  খুব সহজ বিষয় নয়। আমরা নিজেরা এটা বানাতে পারিনা, বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়৷ জুলহাসের এই ইনোভেশন  আমাদের সন্তানদের উৎসাহ দেবে। জুলহাসের  যা যা কমতি আছে সেগুলো তারা পূরণ করবে, একটা সময় নিজেরাই তৈরি করতে পারবো যাত্রীবাহী বা যুদ্ধ বিমান যা কিনা লক্ষ, কোটি ডলার দিয়ে কিনে আনতে হয় আমাদের। অভিনন্দন প্রিয় জুলহাস।


(4/5)

কেন এই অবিচার

 পূর্ণ ঠিকানা চাই🌷

তিনি  শুধুমাত্র একজন শিক্ষক, মাদ্রাসার পরিচালক কিংবা নামাজী হুজুর ছিলেন না।

তিনি ছিলেন একজন সত্যিকারের সৈনিক— যে সাহস করে এগিয়ে এসেছিল, অন্যদের নীরবতার মধ্যেও।

তাঁর নাম মাওলানা শফিকুর রহমান।



জুলাই ২০২৪—এই একটি মাস যেন তাঁর জীবনের সমস্ত বর্ণিল অধ্যায়ের নিষ্ঠুর সমাপ্তির সূচনা।


সেই আন্দোলনের দিনগুলোতে তিনি মাদ্রাসার যত অর্থ ছিল—সব ব্যয় করেছিলেন জালিম স্বৈরাচারীর হাত থেকে আমাদের মুক্তির আশায়।


কিন্তু তার পরিণতি?

তার মাদ্রাসায় তালা ঝুলল, ডোনাররা মুখ ফিরিয়ে নিল।

একজন বলেছিলেন—

"আপনি প্রতিষ্ঠানের কথা না ভেবে আন্দোলন করলেন কেন?"

এই একটি বাক্যে যেন চেপে বসে সারা দুনিয়ার উপহাস।


পরিণতিতে স্ত্রীর ডিভোর্স,

দুই বছরের সন্তানকে হারানোর বেদনা—

যার কথা উঠলেই চোখ ভিজে যায়, গলা কেঁপে ওঠে।

তিনি আজো সন্তানকে “আব্বু” ডাকতে শুনতে চান,

কিন্তু সেই ডাক এখন শুধুই স্মৃতির এক ধ্বংসস্তূপ।


তাঁকে অনেকেই বলেছিলেন—

"আবেদন করুন, ক্ষতিপূরণ পাওয়া যেতে পারে।"

উত্তরে বললেন, "আঘাত পেয়েছি, তবে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াইনি।"

তাই লিস্টে নাম উঠেনি।

আত্মসম্মান বোধ এতটাই দৃঢ়, সাহায্য চাইতেও লজ্জা পান।


সরকারি মহলে বহুবার গেছেন—

কেউ সাহায্যের হাত বাড়ায়নি, শুধু আশ্বাস দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছে।

শেষ চেষ্টা হিসেবে ঋণের আবেদন করেছেন—

মাদ্রাসা আবার খোলা হোক, সেই স্বপ্ন নিয়ে।

তবুও এখনো কিছুই হয়নি।


তিনি হেরে যাননি।

আমরাই হেরে গেছি— আমরা যারা তাঁকে চিনতাম, তবু ভুলে গেছি।


মিডিয়া তাঁকে কখনোই দেখায়নি।

কারণ তিনি হুজুর।

এই দেশে তো মিডিয়া শুধুই বাটপার, চিটার, সেকুলার ভণ্ডদের গুণগান গায়।

যে হুজুর গুলি খায়, চোখের সামনে মাদ্রাসা হারায়, পরিবার ভেঙে পড়ে—

তাঁর গল্প মিডিয়ার কাছে অপ্রয়োজনীয়।

কারণ মিডিয়া ইসলামপন্থীদের নায়ক হিসেবে দেখতে চায় না,

বরং তাদের সবসময় ভিলেন বানিয়ে রাখতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।


তাঁর প্রতিরোধ ছিল নীরব, তাঁর আত্মত্যাগ ছিল নিরবিচারে।

তাঁকে দেখা হয়নি টিভির পর্দায়, কিন্তু ইতিহাস তাঁকে মনে রাখবে।


---


📸 ছবি: জুলাইয়ে প্রতিরোধের সময়, ভাইয়ের অজান্তে তোলা একটি মুহূর্ত


---


তাঁর গল্প হারিয়ে যাওয়ার নয়।

তাঁর জন্য আওয়াজ তুলুন।

তাঁকে ভুলে যাবেন না।

কারণ তিনি ছিলেন আমাদের মাঝে একজন সত্যিকারের গাজী—

তার আত্মত্যাগ অনেক বড়,

যিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েননি,

তবু সব হারিয়ে দিয়েছেন—আমাদের জন্য।


পূর্ণ ঠিকানা পেতে সাহায্য করুন,

কারো পরিচিত থাকলে কমেন্ট বক্সে পূর্ণ ঠিকানা দিন।


— উস্তাদ সুলতান নাঈম


কারো পরিচিত হলে

পূর্ণ ঠিকানা কমেন্ট বক্সে দিন

(4/5)

The "Big Beautiful Bill" Meme: Origins, Impact, and Viral Spread

 digitalmomblog.com/big-b...

The "Big Beautiful Bill" Meme: Origins, Impact, and Viral Spread

In 2025, the phrase "Big Beautiful Bill" surged in popularity across social media platforms, sparking debates, memes, and widespread discussion. But what exactly does this term mean, and how did it become a viral sensation?

🏛️ What Is the "Big Beautiful Bill"?

The "Big Beautiful Bill" refers to a sweeping piece of legislation introduced during President Donald Trump's second term. Officially titled the One Big Beautiful Bill Act (OBBBA), the bill encompasses significant tax reforms, spending cuts, and changes to social programs. Notably, it includes:

  • Tax Cuts: Extensions of previous tax reductions for corporations and high-income earners.

  • Spending Cuts: Reductions in federal spending, including cuts to Medicaid and other social programs.

  • Debt Increase: Projections indicate the bill could add approximately $3.3 trillion to the national debt over the next decade.

📸 How Did It Become a Meme?

The term "Big Beautiful Bill" was initially used by President Trump and his supporters to describe the legislation in a positive light. However, critics and internet users quickly adopted the phrase, often in a satirical or ironic context. The meme gained traction through:

  • Social Media Platforms: Users on Twitter, Reddit, and Instagram shared images, videos, and commentary using the hashtag #BigBeautifulBill.

  • Parody Content: Memes featuring exaggerated depictions of the bill's impact, such as job cuts and increased debt, circulated widely.

  • Political Commentary: Figures like Elon Musk and Bernie Sanders criticized the bill, further fueling online discussions.

🌐 The Meme's Viral Spread

The meme's virality can be attributed to several factors:

  • Controversial Content: The bill's potential to increase national debt and cut social programs sparked widespread debate.

  • Humor and Satire: The internet's ability to blend political commentary with humor made the meme more shareable.

  • Media Coverage: News outlets highlighted the meme, amplifying its reach and impact.

📊 Public Reaction and Impact

Public opinion on the "Big Beautiful Bill" is divided:

  • Supporters argue that the bill will stimulate economic growth and reduce government spending.

  • Opponents contend that the bill disproportionately benefits the wealthy and undermines essential social services.

The meme has become a cultural touchstone, reflecting the polarized nature of contemporary American politics.

🔍 Conclusion

The "Big Beautiful Bill" meme exemplifies how political events can transcend traditional discourse, entering the realm of internet culture. Whether viewed as a satirical commentary or a genuine policy discussion, the meme underscores the power of digital platforms in shaping public perception.

!

(4/5)

ডিওগো জোটা—লিভারপুল এবং পর্তুগালের তারকা ফরোয়ার্ড—এখন বিশ্বব্যাপী শোকের কারণ হয়ে উঠেছেন।


ডিওগো জোটা—লিভারপুল এবং পর্তুগালের তারকা ফরোয়ার্ড—এখন বিশ্বব্যাপী শোকের কারণ হয়ে উঠেছেন। আজ, ৩ জুলাই ২০২৫, স্পেনের জামোরা শহরের কাছে একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মাত্র ২৮ বছর বয়সে তিনি এবং তাঁর ছোট ভাই আন্দ্রে সিলভা নিহত হন। 




📰 দুর্ঘটনার বিবরণ

স্প্যানিশ পুলিশ জানিয়েছে, ডিওগো জোটা ও তাঁর ভাই একটি ল্যাম্বোরগিনি গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন। রাত ১২টার পর গাড়িটি রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনাস্থলে দুইজনেরই মৃত্যু হয়।


⚽ ক্যারিয়ার ও অর্জন

ডিওগো জোটা ২০২০ সালে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স থেকে লিভারপুলে যোগ দেন। তিনি পর্তুগাল জাতীয় দলেরও সদস্য। লিভারপুলের হয়ে তিনি প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ ও লিগ কাপ জিতেছেন। গত জুনে পর্তুগালের হয়ে ইউইএফএ নেশনস লিগ জয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।


🕊️ শোক ও শ্রদ্ধা

লিভারপুল ফুটবল ক্লাব এই মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে। পর্তুগালের অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোসহ বিশ্বের বিভিন্ন কোণ থেকে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।




📌 সারাংশ

ডিওগো জোটা ছিলেন একজন প্রতিভাবান ফুটবলার, যিনি তাঁর খেলার মাধ্যমে কোটি কোটি ভক্তের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। এই অকাল মৃত্যু ফুটবল বিশ্বের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি আমাদের সমবেদনা রইল।

(4/5)

Al-Hilal Stuns Manchester City in a Thrilling 4–3 Extra-Time Upset at the Club World Cup

Al-Hilal Stuns Manchester City in a Thrilling 4–3 Extra-Time Upset at the Club World Cup



Football fans witnessed one of the most shocking moments in recent football history when Saudi Arabia’s Al-Hilal pulled off a stunning upset against English giants Manchester City in the Round of 16 at the 2025 FIFA Club World Cup. The match, held on June 30, 2025, at Camping World Stadium in Orlando, Florida, was a rollercoaster of emotions that kept fans on the edge of their seats until the very last whistle.

A Game Full of Drama and High Stakes

The encounter started with Manchester City asserting their dominance early. The prolific Bernardo Silva put City ahead with a beautiful strike in the 9th minute, raising hopes that Pep Guardiola’s side would cruise to victory. However, Al-Hilal, refusing to back down, launched an inspired comeback right after halftime.

Just a minute into the second half, Marcos Leonardo leveled the score, followed by a powerful finish from Malcom in the 52nd minute, turning the game on its head. The Saudi club was now leading 2–1, putting City under real pressure.

City Fights Back — But the Drama Continues

City’s response was swift. The unstoppable Erling Haaland equalized in the 55th minute, igniting a thrilling back-and-forth battle. The match headed into extra time with both sides locked at 2–2.

Extra time started explosively as Phil Foden put Manchester City ahead once again in the 104th minute, making it 3–3 and sending their fans into a frenzy.

But Al-Hilal wasn’t done yet. In the 112th minute, Marcos Leonardo struck his second goal of the match, sealing a 4–3 victory for the Saudi side. The upset was complete.

The Heroes Behind the Shock

One cannot talk about this incredible result without applauding Yassine Bounou, Al-Hilal’s goalkeeper, who made an astonishing ten crucial saves throughout the match, frustrating City’s relentless attacks.

On the other hand, City suffered a significant blow when midfielder Rodri sustained a knee injury during the game, further hampering their efforts.

What This Result Means

This loss was a heavy one for Manchester City, not just in terms of pride but financially too, with an estimated £9 million in prize money lost due to their early exit.

For Al-Hilal, this victory is monumental — a historic milestone for Saudi football that puts them through to the quarter-finals, where they will face Brazil’s Fluminense.

Final Thoughts

The 2025 FIFA Club World Cup Round of 16 match between Manchester City and Al-Hilal will be remembered as one of football’s greatest shocks. It’s a testament to the unpredictable magic of football — where underdogs rise and giants sometimes fall.

For fans worldwide, this match was a reminder that passion, resilience, and a little bit of magic can change the game in the blink of an eye.


(4/5)

স্বর্ণের বাজার ৪ জুলাই ২০২৫: মূল্য, কারণ ও আগাম ধারা বিশ্লেষণ



স্বর্ণের বাজার ৪ জুলাই ২০২৫: মূল্য, কারণ ও আগাম ধারা বিশ্লেষণ






বাংলাদেশে স্বর্ণ বাজার বরাবরই এক সংবেদনশীল ক্ষেত্র—বিশ্ব অর্থনীতি, স্থানীয় চাহিদা এবং ডলার বিনিময় হারের উপর যার ব্যাপক প্রভাব পড়ে। ৪ জুলাই ২০২৫ সালের জন্য বাজার বিশ্লেষণ করে আমরা দেখতে পাচ্ছি একটি স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রবণতা, তবে কিছু সূক্ষ্ম পরিবর্তনের ইঙ্গিতও রয়েছে।

📌 আজকের দাম (৩ জুলাই ২০২৫): রেফারেন্স পয়েন্ট

  • ২৪ ক্যারেট (১ তোলা): ~৳ 153,027

  • ২২ ক্যারেট (১ তোলা): ~৳ 140,000 (আনুমানিক)

  • বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স: ~$3,326.5

সপ্তাহজুড়ে সামান্য হ্রাস-পূর্ব ধারা থাকলেও বড় ধরনের পতন ঘটেনি—এটি প্রমাণ করে যে বাজার এখন "সেফ জোন"–এ হাঁটছে (অর্থাৎ একটি ধীর অথচ সুসংহত পথে)।



🔍 মূল দামের প্রভাবক বিশ্লেষণ

১. আন্তর্জাতিক অস্থিরতা ও Safe-Haven প্রবণতা

বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং অর্থনৈতিক ধীরগতি বিনিয়োগকারীদের স্বর্ণে আরও আগ্রহী করে তুলছে। বিশেষত মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেন–রাশিয়া পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হচ্ছে।

২. ডলার–টাকা রেট

বাংলাদেশে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে ধাপে ধাপে, যার ফলে আমদানিকৃত স্বর্ণের দাম বাড়ছে। ১ ডলার ≈ ৳121–122 থাকার ফলে আমদানিকারকদের ব্যয়ও বেড়েছে।

৩. স্থানীয় উৎসবমুখর চাহিদা

জুলাইয়ে বিয়ে ও উৎসবের মৌসুম—যেখানে গহনার চাহিদা চিরকাল উঁচু। এই প্রবণতাও দামের উপরে চাপ বাড়ায়।

৪. সীমান্ত বাজার ও কালোবাজারের চাপ

ভারত থেকে অবৈধ স্বর্ণ প্রবেশ, কিংবা অনিয়মিত শুল্ক নীতির কারণে দাম অস্থিতিশীল হতে পারে। তবে সরকার সম্প্রতি নজরদারি বাড়িয়েছে, ফলে সরবরাহ কিছুটা স্থিতিশীল।







📌 সোনার দাম (প্রতি ভরি)

  • ২২ ক্যারেট (বিশুদ্ধ): প্রতি ভরি ৳১৭০,২৩৬

  • ২১ ক্যারেট: প্রতি ভরি ৳১৬২,৫০৩

  • ১৮ ক্যারেট: প্রতি ভরি ৳১৩৯,২৯১

  • ট্র্যাডিশনাল গোল্ড: প্রতি ভরি ৳১১৫,১৭০

📐 সোনার দাম (প্রতি গ্রাম)

  • ২২ ক্যারেট: প্রতি গ্রাম ৳১৪,৫৯৫

  • ২১ ক্যারেট: প্রতি গ্রাম ৳১৩,৯৩২

  • ১৮ ক্যারেট: প্রতি গ্রাম ৳১১,৯৪২

  • ট্র্যাডিশনাল গোল্ড: প্রতি গ্রাম ৳৯,৮৭৪

📦 সোনার দাম (প্রতি কিলোগ্রাম)

  • ২২ ক্যারেট: প্রতি কিলোগ্রাম ৳১,২০,২৯,৪৩০

  • ২১ ক্যারেট: প্রতি কিলোগ্রাম ৳১,১৪,৮২,৬৩৮

  • ১৮ ক্যারেট: প্রতি কিলোগ্রাম ৳৯,৮৪,২২,৬১৫

  • ট্র্যাডিশনাল গোল্ড: প্রতি কিলোগ্রাম ৳৭,৬৫,৫০,৯২৩



📈 আগামীকালের সম্ভাব্য বাজার ধারা

  • দাম ±৳500–৳1000 এর মধ্যে উঠা-নামা করতে পারে।

  • বড় কোনও ভূরাজনৈতিক পরিবর্তন না হলে বাজার থাকবে sideways stable

  • আন্তর্জাতিক বাজারে যদি নতুন হারে মূল্যবৃদ্ধি না ঘটে, তবে দাম পূর্বের মতই থাকবে।

🧠 ব্যক্তিগত পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দিন শুরু করে ১০টা হাঁটাহাঁটি করে মাথা ঠান্ডা করলেও ক্ষতি নেই!


ক্রয়-বিক্রয় পরামর্শ (বিনিয়োগমূলক নয়)

  • ক্রয়: দাম যদি আগের দিনের তুলনায় কম থাকে এবং বিয়ের বা গহনার নির্দিষ্ট প্রয়োজন থাকে, তাহলে এখনই কেনা যুক্তিযুক্ত।

  • বিক্রয়: আপনি যদি লাভে বিক্রি করতে চান, তাহলে আগামী ১–২ সপ্তাহ বাজার ট্র্যাক করে তারপর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।


🧾 উপসংহার: আরও চোখ-কান খোলা রাখা দরকার

স্বর্ণের বাজার ‘চুপচাপ জিম’–এর মতো—বাইরে থেকে নিঃশব্দ মনে হয়, কিন্তু ভিতরে প্রচুর ওজন তোলা চলছে। দামও ঠিক সেভাবেই ছোট ছোট পরিবর্তনের মাধ্যমে বড় প্রভাব তৈরি করে। তাই প্রতিদিনকার বাজার পরিস্থিতি বুঝে চলাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।


#স্বর্ণের_দাম #বাংলাদেশবাজার #৪জুলাই২০২৫ #স্বর্ণবিনিয়োগ #মূল্যবিশ্লেষণ

আর হ্যাঁ—যেহেতু স্বর্ণের ওজনের সঙ্গে আমাদের টানাপোড়েন চলছে, তাই ব্লগটা শেষ করেই ১৫ সেকেন্ডের wall sit দিলে ভারসাম্য বজায় থাকবে—অন্তত নিজের পায়ে তো! 😉


(4/5)